বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
কে আমি?......মেইরোজ? হ্যাঁ মেইরোজ।অন্যের ভাবনায় নিমগ্ন মেইরোজ। আমার পরিচিত মানুষজন আমাকে মেই বলে ডাকে।কেউ শুধু রোজ বলে ডাকে। আমি একটি ছেলের প্রেমে পড়েছিলাম।আসলে সেটা কী সত্যিই প্রেম?...... না। সেটা ছিল একপ্রকার মোহ।যা আমার মনে লুকিয়ে প্রবেশ করেছিল।কারন তখন তো এই মনের দরজা উন্মুক্ত ছিল।আস্তে আস্তে আমি সেই ছেলেটাকে ভুলেও গেলাম। খুব সহজেই। কেউ জানতো না যে আমি তার প্রেমে স্যরি মোহে পা ফেলেছি। খুব সাবধানে সেই মোহ থেকে আমি উঠে ও এলাম। কেউ কিছুই বুঝতে পারেনি।সেই ছেলেটাও না। আমার মনের সাথে আমার মুখ বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। তাই তো মুখ ফসকে ও কাউকে কিছু বলিনি।তখন ক্লাস এইটে পড়তাম।যখন ক্লাস নাইনে উঠেছি তখন আমার ভিতর প্রবেশ করলো এক অন্য স্বত্তা। আমি বুঝতে সক্ষম হলাম মোহের মায়াজাল। আমার মনের সেই উন্মুক্ত দরজাকে তালাবদ্ধ করলাম।যেন কেউ আমার অনুমতি না নিয়ে কেবলমাত্র অনুভূতির সাথে মিশে এই মনের কুঠিরে প্রবেশ করতে না পারে। এমনি করে খুব সাবধানে নাইন অতিক্রম করে টেনে পা ফেললাম।এরই মাঝে বদলে গেলাম মেইরোজ নামক এই আমি। আমার ক্লাসের অনেক ছেলে আমাকে পছন্দ করে।ক্লাস চলাকালীন একদিন আমি আমার ক্লাসমেট সানায়াকে চোখ মেরে ইশারায় বললাম সে যেন তৃষাকে সত্যি কথাটা না বলে দেয়। একটা গোপন কথা ছিল যেটা আমাদের ক্লাসের কেউ জানতো না।সানায়াকে তৃষা জোরাজুরি করে সেটা বলাতে চাচ্ছিল।সানায়া আমার দিকে তাকিয়ে ইশারায় জিজ্ঞেস করলো বলবে কী না। আমি মুখে হ্যাঁ বললাম ঠিকই কিন্তু ইশারায় চোখ মেরে না বললাম। আমি খেয়াল করিনি সামনের বেঞ্চের ৪টি ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। ক্লাস শেষ হওয়ার পর বাঁধল বিপত্তি। ছেলে ৪টা আমার কাছে এসে বলল, "কী রূপালী মেই, আমাদেরকে চোখ কেন মেরেছ?? আমি তো অবাক।যাই হোক নিজেকে সামলে বললাম, "তোমাদেরকে কেন চোখ মারবো আমি? সানায়াকে ইশারা করেছিলাম" সেদিন থেকে এই চারটি ছেলে আমাকে ডিস্টার্ব করা শুরু করলো। শুধু বলে, " একবার চোখ মারো"। স্যার ক্লাসে ক্লাস করে আর তারা কাগজে চিঠি লিখে আমার দিকে ছুঁড়ে মারে। আমার একটাই ভয় ছিল।সেটা হচ্ছে স্যাররা জানেন আমি খুব ভালো মেয়ে। মাঝে মাঝে অন্য মেয়েদের আমাকে দিয়ে উদাহরণ দেখায়।আর স্যার যদি এসব দেখে তাহলে তো একটু হলেও আমার প্রতি তিনি সন্দেহ পোষণ করবেন। একদিন আমি সেই ছেলেদের কে খুব কড়াভাবে সতর্ক করি। তবুও তারা থেমে থাকেনি। তবে আস্তে আস্তে একটা পর্যায়ে তারা বুঝলো আমি এতো সহজে গলার পাত্রী না।তারা আমার পথ থেকে সরে গেল। কিছু দিন পর নতুন করে আরেক ছেলে ঝামেলা বাধালো। সেই ছেলেটা হাসি দিলে গালে টোল পড়ে। আমিও হাসি দিলে নাকি গালে টোল পড়ে তাই তার ইচ্ছা সে আমার সাথে প্রেম করবে। বিভিন্ন মেয়েকে পাঠায় আমার ফোন নাম্বার নেওয়ার জন্য। প্রতিদিন আমি যেই বেঞ্চে বসি তার ঠিক সামনের বেঞ্চটাতে সে বসতো যেন আমাকে সরাসরি দেখতে পারে। আমি যদি উঠে পেছনের বেঞ্চে চলে যেতাম তাহলে সে এসে সামনের মেয়েদেরকে উঠিয়ে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিতো। আমি খুব বিরক্ত হয়ে উঠছিলাম।ছেলেটাকে কতো বুঝালাম কিন্তু সে নাছোড়বান্দা।এরপর থেকে স্যারের পাশের বেঞ্চে আমি বসতাম।এতে সে স্যারের ভয়ে আমার দিকে তাকাতে পারত না। ক্লাস শেষ হতেই আমি ক্লাসের বাইরে চলে যেতাম।তার থেকে দূরে দূরে থাকা শুরু করলাম।আস্তে আস্তে সেও ক্লান্ত হয়ে পড়ল।এখন আমি চিন্তামুক্ত। আমার সামনে আপাতত কোনো বাধা নেই।এখন শুধু একটাই ভাবনা। সেটা হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। আমি পড়াশুনায় তেমন মনোযোগী না। পড়তে বসলে নিজের কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাই। রাতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ দিয়ে চাঁদের ভিতর আমার জন্য প্রাসাদ তৈরি করি।চোখ বুজে জোছনার ঘ্রাণ নিই। মনে মনে লুকোচুরি খেলি।স্বপ্নে পরীদের রাজ্যের সরদার ফুলপরি বেএসমের সাথে ফুলবাগানে ঘোরে বেড়াই। মাঝে মাঝে হাত বাড়াই আকাশ ছোঁয়ার আকাঙ্খায়।অন্ধকারের নিকষ কালো ও আমার ভালো লাগে।
....................................... মেইরোজ, দুষ্টু মেইরোজ, মিষ্টি মেইরোজ, অন্যের জন্য জীবন উৎসর্গকারী মেইরোজ, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মেইরোজ, স্বপ্নকন্যা মেইরোজ, ইচ্ছেরানী মেইরোজ, হ্যাঁ আমিই মেইরোজ, সকলের মেইরোজ।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।সমাপ্ত।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
হৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেRehnuma Ahmed
Golpobuzz ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSp Lucky
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেLutfun Nahar (Sabira)
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSp Lucky
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSp Lucky
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেLutfun Nahar (Sabira)
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেমেহেরাজ হাসনাইন
Golpobuzz ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেRehnuma Ahmed
Golpobuzz ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেLutfun Nahar (Sabira)
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেপেন্সিলে আকাঁ পরী(শিখা)
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেLutfun Nahar (Sabira)
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেআপনার নাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেমেহেরাজ হাসনাইন
Golpobuzz ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSushmita
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বে